Wellcome to National Portal
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৮ জুলাই ২০২৪

নির্বাহী পরিচালক

ড. মোঃ মফিজুর রহমান

নির্বাহী পরিচালক

বিয়াম ফাউন্ডেশন গবেষণা ও পরামর্শ সেবা কেন্দ্র

 

বাংলাদেশ সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. মোঃ মফিজুর রহমান, ০৪ জুন ২০২৪ তারিখে বিয়াম ফাউন্ডেশন গবেষণা ও পরামর্শ সেবা কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক পদে যোগদান করেন।  তিনি বিগত ৩১ আগস্ট ২০২০ তারিখ অবসর গ্রহন করেন। সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহনের অব্যবহিত পূর্বে তিনি ২৭ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখ থেকে ৩১ আগষ্ট ২০২০ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) এর মহাপরিচালক পদে কর্মরত ছিলেন। অবসর গ্রহনের পর তিনি বিগত ২৮ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখ থেকে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত তিন বছর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমইএফ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ড. রহমান বরিশাল জেলার হিজলা উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৬১ সালের ০১লা সেপ্টেম্বর জন্ম গ্রহণ করেন। বাবা ছিলেন সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন এবং মা গৃহিনী। মেঘনা নদীতে বাড়িঘর বিলীন হওয়ায় ১৯৮৪ সন থেকে তাঁর পরিবার শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে বিকম (সম্মান) (দ্বিতীয় শ্রেণীতে প্রথম স্থান),  এমকম (প্রথম শ্রেণী) পাস করেন। কর্মজীবনে প্রবেশের পর তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাইভেট পরীক্ষার্থী হিসেবে এলএলবি, নেদারল্যান্ডস এর Maastricht বিশ্ববিদ্যালয়ের Maastricht School of Management থেকে Management Control and Management Information System (MCMIS) বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রী  এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন আইবিএস থেকে পরিবেশ স্টাডিজ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। 

আরব বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশনার হিসেবে ১৯৮৭ সালে কর্মজীবন শুরু করেন। এর পর প্রায় একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সুযোগ এবং বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে ড. রহমান ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন। নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি, ময়মনসিংহ, গাইবান্ধা, সুনামগঞ্জ ও ঝালকাঠি জেলায় সহকারী কমিশনার, সহকারি কমিশনার (ভূমি), এলএও, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা পরিষদ সচিব, বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। মাঠ পর্যায়ে দায়িত্ব পালনের ফাঁকে ফাঁকে তিনি নৌ পরিবহন, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং বঙ্গভবনে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য হয়েও ড. মোঃ মফিজুর রহমান দু-দু‘বার বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে কাজ করার অপূর্ব সুযোগ পেয়েছেন। তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয় হতে হজ্জ কাউন্সেলর হিসেবে সৌদি আরবে (জুন ২০০৭ থেকে জানুয়ারী ২০০৯) এবং বিটাকে যোগদানের অব্যবহিত পূর্বে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অধীনে বাংলাদেশ দূতাবাস রোম, ইতালীতে (আগস্ট ২০১২ হতে জানুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত) ইকোনমিক কাউন্সেলর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি রোমে অবস্থিত জাতিসংঘের তিনটি প্রতিষ্ঠান খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO), ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেপলপমেন্ট (IFAD) এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (WFP) তে বিকল্প স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ড. রহমানই একমাত্র বাংলাদেশি যিনি সর্বপ্রথম ২০১৫ সালে জি-৭৭ রোম চাপ্টার এর ভাইচ-চেয়ার এবং ২০১৬ সালে চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কমিটি অন ওয়ার্ল্ড ফুড সিকিউরিটিজ (সিএফএস) এর ব্যূরো মেম্বার হিসেবে দু‘টো উপ-কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। তাছাড়ও তিনি এফএও‘র প্রোগ্রাম কমিটি, ফাইনান্স কমিটি এবং লিগ্যাল এন্ড কনস্টিটিউটশন বিষয়ক কমিটির নির্বাচিত সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের Second International Conference on Nutrition (ICN2) এর রোম ডিক্লারেশনে তাঁরই দেয়া প্রস্তাবনা গৃহীত হওয়ায় জাতিসংঘ ২০১৬ থেকে ২০২৫ সময়কালকে পুষ্টি দশক (International Decade for Nutrition) ঘোষণা করেছে। তাঁর প্রচেষ্টাতে বাংলাদেশ ২০১৬-২০১৮ মেয়াদে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়াও তিনি এফএও, ইফাদ এবং ডব্লিউএফপি‘র প্রায় সকল কমিটি, উপকমিটিসহ বিভিন্ন ইভেন্টের চেয়ারপার্সন/প্যানেলিষ্ট/মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেছেন।

 

বিটাকের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন কালে তিনি বিটাকের সৃজনের ৫৮ বছর পর বিটাক আইন ২০১৯ প্রণয়ন, বিটাকের জন্য জনপ্রশাসন পদক অর্জন এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের জন্য দীর্ঘ মেয়াদী ভিশনারি মাষ্টার প্লান প্রণয়ন করেন। উক্ত মাস্টার প্লানের আওতায় বিটাকে ৬টি নতুন কেন্দ্র স্থাপনসহ নানামূখী উন্নয়ন কার্যক্রম এখন চলমান রয়েছে। এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের উন্নয়নে নানাবিধ কার্যক্রম বাস্তবায়নসহ প্রণোদনা প্যাকেজের তিনশত কোটি টাকা মাত্র তিন মাসের মধ্যে অত্যন্ত সাফল্যজনকভাবে উদ্যোক্তাদের মাঝে বিতরণ করেন।

 

সৌদি আরব এবং ইতালীতে চাকরির সুবাদে অবস্থান করা ছাড়াও প্রশিক্ষণ ও সরকারি দায়িত্বের অংশ হিসেবে ড. রহমান সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ইউএসএ, ইউকে, নরওয়ে, জার্মানি, বেলজিয়াম, তুরস্ক, নেদারল্যন্ডস, গ্রীস, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, থাইল্যান্ড, মরোক্ক, লাওস, ফিজি, সলোমন আইল্যান্ড, সামোয়া, অষ্ট্রিয়া, জার্মানি, স্লোভেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া, আলবেনিয়া, সার্বিয়া, ইকুয়েডর, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, মালি, সিয়েরা লিওন, গিনি, লাইবেরিয়া, সাউথ কোরিয়া, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভারত, চীন, নেপাল, অষ্ট্রেলিয়া এবং জাপান ভ্রমণ করেন।

 

ব্যক্তিগত জীবনে তিনি দুই পুত্র সন্তানের জনক। তার বড় ছেলে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার চালর্স ডারউইন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত এবং ছোট ছেলে আমেরিকার ফ্লোরিডা ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এফআইটি) থেকে এ্যাভিয়েশন ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে গ্রাডুয়েজশন সম্পন্ন করে করোনাকালীন সময়ে দেশে ফিরে আসে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে এমবিএ ডিগ্রী সম্পন্ন করেছে। তাঁর স্ত্রী নাসরিন রহমান বাংলাদেশ বেতারে কর্মরত।